Home » 2015 » January » 23 » মেয়েরা বিয়ের দিন কাঁদে কেন?
1:30 PM
মেয়েরা বিয়ের দিন কাঁদে কেন?

অনলাইন ডেস্ক ইউরো বিডি নিউজ

শুক্রবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৫

 

একটা মেয়ে যতই চঞ্চল প্রকৃতির হোকনা কেন । বিয়ের দিন একেবারে থমথমে ভাড়াক্রান্ত মন নিয়ে বসে খাকে । চেহারা মধ্যে যেন আষাঢ়ের কাল মেঘ ধীরে ধীরে জমাট বাঁধতে শুরু করে । কবুল বলার সময় যতো ঘনিয়ে আসে আষাঢ়ের মেঘের ঘ…নত্বটা ততই গাঢ় হয় । তার চারপাশে এতো আনন্দ, এতো হইচই ,এতো পরিচিত অপরিচিত লোকের আনাগোনা । কোথাও যেন তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই । যেন এতকিছুর মাঝেও তার মনের মধ্যে দশ নম্বর সিগনালে সাগরের উত্তাল ঢেউখেলে যাচ্ছে কিন্তু কেন? এই দিনতো তার সবচেয়ে আনন্দিত হওয়ার কথা । কারন যাকে নিয়ে সে তার সারাজীবন কাটাবে যাকে ঘিরে তার জীবনের সব স্বপ্ন । যার জন্য এতটা বছর ধরে তার সকল সম্ভ্রম যতনে আগলে রেখেছে…যাকে ইহকালে পাওয়ার সাথে সাথে পরকালেও পাবার স্বপ্ন দেখে…আর কিছুক্ষন পরেই সেই প্রিয় মানুষটিকে চিরদিনের মতো নিজের করে পেতে যাচ্ছে…এমন সুখকর মূহুর্তে মেয়েরা কাঁদে কেন?? আসুন জেনে নেই বিয়ের সময় মেয়েরা কাঁদে কেন এর প্রকৃত কারন………. এমন হাসিমুখ বিদায়ের সময় কান্নার রুপ নেয় কেন ? পারিবারিক দৃষ্টিকোন থেকে : একটা মেয়ে তার ক্ষুদ্র জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় তার বাবার বাড়ীতে থাকে । জন্মের পর থেকে বাবা-মায়েরকোলে পিঠে করে বড় হয়েছে । ভাইবোনদের সাথে হেসে খেলে হৃদয়েরভালবাসা বেড়েছে । এতোদিনের এই মায়া-মমতা একটু পরেই অধরা হয়ে যাবে । আর একটু পরেই এ মায়ায় ভরা পরিবারের সকলকে ছেড়ে যেতে হবে । নতুন এক পরিবারের সদ্য নবীন সদস্য হতে হবে । বিয়ের দিন এই ভাবনাগুলো একটি মেয়েকে পেরেক ঢুকার মতো করে হৃদয়ে ক্ষতবিক্ষত করতে থাকে । তাইতো বিদায় ঘনমূহুর্তে বাধঁভাঙ্গা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে… সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে : একটা মেয়ে জীবনের বিশটা বছর যে এলাকায় বেড়ে উঠেছে । যে মাঠ-ঘাট সে চসে বেড়িয়েছে । যে নদীর সাথে সে সদা খেলা করেছে । যে বন্ধু-বান্ধবীদে র সাথে তার সারাদিন কেটেছে । সেই সমাজের সকল মানুষের সকল প্রকৃতিকে বিদায় জানিয়েঅন্য কোন পরিবেশে, অন্য কোন সমাজে চলে যেতেহচ্ছে । বিয়ের দিন হয়তো এগুলো ভেবে মন ভাড়াক্রান্ত হয়ে অঝড়ে ঝড়ো বৃষ্টি বর্ষন শুরু করেন……. ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে : ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে একটি মেয়ে বিয়ের পর থেকে স্বামীর নিয়ন্ত্রনে চলে যান । স্বামীর মতের সাথে মিলিয়ে চলতে হয় । সে ভালো করেই বুঝতে পারছে বিয়ের পরে ইচ্ছে করলেও আগের মতো দৌড়ে পেয়ারা গাছে চড়া যাবেনা । ইচ্ছে করলেও এখন আর আগেরমতো এদিক ওদিক বেড়াতে যেতো পারবেনা ।স্বামীকে সন্তুষ্টিতেতার উপর অনেক দায়িত্ব বর্তাবে । শশুড়-শাশুড়ীর খেদমত করতে হবে । এখানে মন চায়জিন্দেগীর অনেকটাই কোরবানী দিতে হবে । বিয়ের সময় এইসব ভেবে হয়তো পাহাড়েরর চূড়া থেকে নেমে আসা ঢলের মতো কাঁন্নার বন্যা বইয়ে দেন… বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে : মেয়েদের শরীরের হরমোন ও ছেলেদের শরীরের হরমোনের মধ্যে অনেক পার্থক্য বিদ্যমান । এই ধরুন টেস্টোটেরন হরমোনের আধিক্যর কারনে ছেলেদের কন্ঠস্বর মোটা হয় এবং গালে দাড়ি গজায় । পক্ষান্তরে মেয়েদের শরীরে এই হরমোন কম বলে তাদের কন্ঠস্বার চিকন ওগালে দাড়িগজায় না । অনুরোপ ভাবে প্রোলাকটিন হরমোনের আধিক্যর কারনে মেয়েরা বেশি কাঁদে ।হয়তো বিয়ের সময় সকল কষ্টগুলো একত্রি হওয়ার দরুন শরীরে এই হরমোন বেশি নিশৃত হয় । ফলাফলে জোয়ারের পানির মতো দু’চোখগলে পানি গড়িয়ে পরে…… মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে : ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আবেগ অনেক বেশি । মেয়েদের মন ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি নরম । তাইতো দেখি মায়ের মমতা ও পিতার আদরের মধ্যে একজন সন্তান মাকেই বেশি ভালবাসে । সেই আবেগী নারী যখন বিয়ের দিন সকল মায়ার বাধঁন ছিন্ন করে নতুন বাঁধনে আবধ্য হতে যাচ্ছে তখন নিজের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে । নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে বর্ষন করে বারিধারা……. . অভিনয়ের দৃষ্টিকোন থেকে : অনেক মেয়ে আছে যারা মনের দিক থেকে অনেকশক্ত । তারা সহজেই কাঁদে না । আবার অনেক মেয়ে আছে প্রেমের বিয়ে ভালবাসার মানুষটিকে পেয়ে তার চিত্ত নিত্যই উচাটন ।প্রিয় মানুষটির কাছে যেতে আর তর সইছে না। এমন সময় বিয়ের সময় যে কাঁদতে হয় এটাও ভুলে যায় । অগত্য বাধ্য হয়ে কোন ভাবী বা সই মনে করিয়ে দেয় কিরে বিয়ের সময় সব মেয়েরাই কাঁদে তুই এমন ভোতা হয়ে আছিসকেন ।উপস্থিত সবাই কি মনে করবে । মেয়েও অগত্য বাধ্য হয়েই অভিনয়ের কান্না জুড়ে দেয় । চোখে পানি আসুকআর নাই আসুন । কান্নার চিৎকারে আসে।

Views: 142 | Added by: rana | Rating: 0.0/0
Total comments: 0
avatar